ভদ্রলোকের চারিটি
ছেলে, বড় মেঝ, সেজো অতি সুপুরুষ কিন্তু কোলেরটি দেখতে একবারে কদাকার। মানুষের
বাচ্চা বলে মনে হয় না, খ্যাঁদা নাক, ট্যারা চোখ, ফোলা পেট, রোগা টিঙটিঙে।
ছোটটার দিকে তাকালেই
ভদ্রলোকর অনেক কিছু মনে হয়, ওপরের তিনটি ছেলে এমন সুন্দর, আর ছোটটা এমন কুশ্রি।
মনে মনে গুমরে মরেন ভদ্রলোক।
শেষে এমন এক অসুখে পড়লেন
প্রাণ যায় যায়। মৃত্যু অবধারিত জেনে এক সন্ধ্যায় গিন্নীকে কাছে ডাকলেন। ফিসফিস করে
বললেন। করুনা আমারতো বেশী দেরী নাই। তোমার কাছে আমার একটা অনুরোধ। আমি যা জিগ্যেস
করবো, সত্যি উত্তর দেবে তো।
করুণা ভদ্রলোকের
স্ত্রী নাম, ফোঁপাতে ফোঁপাতে ভদ্রলোককে আঁকড়ে ধরে বললে – যা জিগ্যেস করবে তোমার গা
ছুঁয়ে বলছি, সত্যি বলবো।
ভদ্রলোক জিগ্যেস করলেন
– হ্যাঁগো তোমার তিনটে ছেলে এমন সুন্দর ছোটটা এমন কুৎসিত দেখতে কেন? – তবে কি তুমি
–
স্বামীকে থামিয়ে দিয়ে বুকে মাথা রেখে স্ত্রীর উত্তর –
মরার আগে সত্যি কথা শুনে যাও, ছোটটা তোমারই ছেলে।
0 মন্তব্য(গুলি) :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন